লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদের নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৪খ্রিঃ স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদের ২জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির অযুহাতে ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত করে। পরীক্ষা দিতে না পেরে ক্ষুদ্ধ উপস্থিত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদের উপস্থিত পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ দিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসকসহ ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মতে কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দুই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ছিলো লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয় এর অস্থায়ী কার্যালয় কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদের পরীক্ষা। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বিধি মোতাবেক ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয় পরীক্ষা নিতে। ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ২ পদে আবেদন করে মোট ৬জন প্রার্থী। পরীক্ষায় দুই পদে ৪জন উপস্থিত হন। অনুপস্থিত ছিলেন ২জন। ঢাকা থেকে আসা ২ পদে ২জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত হন। তাদের সাথে স্থানীয় আরও ২ পদে ২জন পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে যথা সময়ে উপস্থিত হন। গর্ভনিং বডি ২ পদে ২জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় পুর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ পদে ৩জন পরীক্ষার্থী। এরা হলেন- কে. এম, হুমায়ুন রেজা, মোঃ আলমগীর হোসেন, ফরিদ আহমেদ। এদের মধ্যে ফরিদ আহমেদ পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে উপাধক্ষ পদে ৩জন পরীক্ষার্থী। এরা হলেন- মোঃ ময়েজ উদ্দিন, রুহিদাশ চন্দ্র রায়, মোঃ আল-মামুনুর রশিদ। এদের মধ্যে মোঃ ময়েজ উদ্দিন সরকার পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা দিতে না পেরে এ্যাডভোকেট কে. এম, হুমায়ুন রেজা সাংবাদিকদের জানান, একজন পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির অযুহাতে ম্যানেজিং কমিটি পরীক্ষা নেওয়ার পর স্থগিত করতে পারতো।
অপর পরীক্ষার্থী মোঃ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমি বিজ্ঞপ্তি পেয়ে ঢাকা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছি। কিন্তু পরীক্ষাটি স্থগিত করেছে।
অপর পরীক্ষার্থী এ্যাডভোকেট রুহিদাশ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষার্থী না আসলেও পরীক্ষা নিতে দোষ ছিলো না পরে তা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারতো।
এদিকে পরীক্ষা নিতে আসা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমার সাথে যে আচরণ ও ব্যবহার করা হয়েছে তা ঠিক করেনি ম্যানেজিং কমিটি। আমি বিষয়টি উপর মহলে জানাবো।
লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ৩জন করে মোট ৬জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু পরীক্ষার দিন প্রত্যেক পদে ১জন করে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে সোমবারের নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেছেন লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব থাকবে না।